Friday, October 5, 2012

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD: The Income Tax Ordinance, 1984 - Index Amended up-to July, 2012. CHAPTER -I PRELIMINARY       1. Short Title And Commencement. 2. De...

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD: The Income Tax Ordinance, 1984 - Index Amended up-to July, 2012. CHAPTER -I PRELIMINARY       1. Short Title And Commencement. 2. De...

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD: The Income Tax Ordinance, 1984 - Index Amended up-to July, 2012. CHAPTER -I PRELIMINARY       1. Short Title And Commencement. 2. De...

Tuesday, October 2, 2012

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD: The Income Tax Ordinance, 1984 - Index Amended up-to July, 2012. CHAPTER -I PRELIMINARY       1. Short Title And Commencement. 2. De...

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD

BANGLADESH LAW: INCOME TAX BD: The Income Tax Ordinance, 1984 - Index Amended up-to July, 2012. CHAPTER -I PRELIMINARY       1. Short Title And Commencement. 2. De...

Thursday, May 3, 2012

Chandpur-Boro Station bd: بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِশুরু করছি আ...

Chandpur-Boro Station bd: بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আ...
: بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। ...

BANGLADESH LAW: Information Technology

BANGLADESH LAW: Information Technology: ওয়ার্ড ফাইলে পাসওয়ার্ড খুব সহজেই ওয়ার্ড ফাইলে পাসওয়ার্ড দেওয়া সম্ভব। এ জন্য ফাইল সেভ করার সময় ঝধাব ধং-এ ক্লিক করে উইন্ডোর টুল...

BANGLADESH LAW: THE COMPANIES (BANGLADESH) ACT'1994

BANGLADESH LAW: THE COMPANIES (BANGLADESH) ACT'1994: (See section 404) (Published by Notification No. SRO 177-law dated 1-10-95. of Ministry of Commerce) Act No. 18 of 1994 An Act to ...

BANGLADESH LAW: Information Technology

BANGLADESH LAW: Information Technology: ওয়ার্ড ফাইলে পাসওয়ার্ড খুব সহজেই ওয়ার্ড ফাইলে পাসওয়ার্ড দেওয়া সম্ভব। এ জন্য ফাইল সেভ করার সময় ঝধাব ধং-এ ক্লিক করে উইন্ডোর টুল...

Tuesday, April 24, 2012

BANGLADESH LAW: BANGLADESH LAW QUESTION & SOLUTIONজানতে চাইজানতে...

BANGLADESH LAW: BANGLADESH LAW QUESTION & SOLUTIONজানতে চাই

জানতে...
: BANGLADESH LAW QUESTION & SOLUTION জানতে চাই জানতে চাই  1. জিজ্ঞাসা ২০০৮ সালে আমরা দুজন পরিবারের অ...

BANGLADESH LAW: Others Law

BANGLADESH LAW: Others Law: হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনে মামলার বিচার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা হয় না এ দেশের সব নাগরিক আইনে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য...

Sunday, April 15, 2012




بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


BANGLADESH LAW QUESTION & SOLUTION

জানতে চাই


জানতে চাই 
1. জিজ্ঞাসা

২০০৮ সালে আমরা দুজন পরিবারের অনুমতি ছাড়া এফিডেভিট করে নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারি কাজি দিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করি। আমি আমার স্ত্রী এখন স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ছি। চার মাস পর মেয়ে পক্ষ বিয়ের ঘটনা জানলে আমাকে ডেকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরামর্শ দেয় এবং তারপর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে বলে। আমি অনেক কষ্টে রাজি হই। কিন্তু তার এক দিন পর অন্য কাজির কাছ থেকে দুজন সাক্ষীর স্বাক্ষর দিয়ে অপূর্ণ ডিভোর্স পেপার তুলে আনে। এর সাত-আট দিন পর আমার স্ত্রীকে শারীরিক মানসিক চাপ দিয়ে স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু তখন থেকে আজ পর্যন্ত এক দিনের জন্যও আমাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। এমনকি শারীরিক সম্পর্কও আছে। মেয়ের বক্তব্য, তাকে জোর করে ডিভোর্স করানো হয়েছে। আমরা দুজন দুজনকে চাই। এখন মেয়ে পক্ষ অন্যত্র বিয়ের জন্য আমার স্ত্রীকে শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। অবস্থায় আমি কি আইনের আশ্রয় নিতে পারি? তা কিভাবে? আর ডিভোর্স বৈধ হলে পুনরায় বিয়ে করতে হিল্লা বিয়ের প্রয়োজন আছে কি না?

 
উল্লেখ্য, আমাকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছে ২০০৮ সালে অর্থাৎ তিন মাস পর। নোটিশে উল্লেখ ছিল, চেয়ারম্যানকেও এক কপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি, সেখানে কোনো নোটিশ আসেনি এবং চেয়ারম্যান বা অন্য মাধ্যমে কোনো সমঝোতা হয়নি।

1.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর () ধারা অনুযায়ী হিল্লা বিয়ে বা অন্তর্বর্তী বিয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। ধরনের বিয়ে আইনের পরিপন্থী। তালাক বৈধ হলেও আপনাদের আবার বিয়েতে কোনো বাধা নেই। তা ছাড়া তালাক কার্যকর না হলে আপনি দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন।

2. জিজ্ঞাসা

আমার চাচার কোনো সন্তান নেই। তিনি মারা যাওয়ার আগে তাঁর সব সম্পত্তি পালিত পুত্র তার পরিবারকে লিখে   দিয়েছেন। চাচার বাড়ি আমাদের বাড়ি একই দাগে। রাস্তায় বেরোতে হলে তাঁর বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে হয়। চাচার পালক পুত্র বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াতে নিষেধ করেন। আমার বাবা চাচাকে বণ্টননামা দলিল করে দেননি। বাবাও মারা গেছেন। এখন কি কোনো আইনে আমাদের বাড়ির ভাগ বদল করতে পারব? আর চাচার সম্পত্তির অংশ কি আমরা পাব?

2.আইনজীবীর উত্তর

প্রথমত, বাড়ি ভাগের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট দেওয়ানি আদালতে বাটোয়ারা মামলা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার চাচা যেহেতু পুরো সম্পত্তি তাঁর পালক পুত্রের নামে লিখে দিয়েছেন, সেহেতু আপনার চাচার সম্পত্তির কোনো অংশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তৃতীয়ত, রাস্তায় চলাচলের জন্য বর্তস্বত্ব অথবা ইজমেন্টের মামলা করতে পারেন।

3. জিজ্ঞাসা

প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর আমার স্বামী আমাকে বিয়ে করেন। তাঁর আগের ঘরে তিন ছেলে এক মেয়ে আছে। বর্তমানে আমাদের দেড় বছর বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আমার স্বামী তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়েকে খুব ভালোবাসেন। আমার বিয়ের আগেই তাঁর একটি কম্পানির ১০০ শেয়ারের মালিক তিনি এবং বাকি ১০০ শেয়ার তাঁর আগের চার ছেলেমেয়ের নামে। স্বামীর অবর্তমানে আমার সন্তান আমি কি শেয়ারের অংশ পাব? আমার স্বামী তাঁর সম্পত্তি কোনো সন্তানের নামে লিখে দেননি। আমার কাছে তাঁর সম্পত্তির কোনো কাগজপত্র নেই। তাঁর অবর্তমানে আমার মেয়ে আমি কি সম্পত্তি পাব? যদি তাঁর অবর্তমানে আগের ঘরের সন্তানরা আমাকে অংশ দিতে রাজি না হয়, তাহলে আমার করণীয় কী? স্বামীর অবর্তমানে আমি কি আমার দেনমোহর পাব, নাকি শুধু জীবিত অবস্থায় দেনমোহর পাওয়ার অধিকার থাকে?

3.আইনজীবীর উত্তর

আপনার স্বামীর অবর্তমানে আপনি আপনার কন্যাসন্তান মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী আপনাদের অংশ পাবেন। ক্ষেত্রে কন্যাসন্তানরা পুত্রসন্তানের অর্ধেক পরিমাণ অংশের অধিকারী। মুসলিম আইনে দেনমোহর এক ধরনের দেনা। এই দেনা জীবিত অথবা মৃত্যুর পরও পরিশোধযোগ্য। আপনার স্বামী জীবিত থাকাকালে আপনার দেনমোহর পরিশোধ না করলে তাঁর অবর্তমানে তাঁর অন্য উত্তরাধিকারী দেনমোহরের অর্থ পরিশোধের পর পৃথকভাবে নিজ নিজ অংশের অধিকারী হবেন।


4. জিজ্ঞাসা



স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। দেনমোহর ছিল ১০ লাখ টাকা। দুই লাখ টাকা কাবিননামায় উসুল দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে উসুল বাবদ কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। বিয়ের এক বছরের মধ্যে আমার একটি মেয়ে হয়। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর আমার স্বামীর সমর্থনেই শাশুড়ি ননদেরা নানাভাবে আমাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার বনিবনা না হওয়ায় আমি তাকে তালাক দিই। তালাক কার্যকর হওয়ার পর আমার দেনমোহর মেয়ের ভরণপোষণের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করি। আদালত যথারীতি ডাকযোগে পেয়াদার মাধ্যমে সমন জারি করেন। ইতিমধ্যে পাঁচবার মামলার তারিখ ধার্য হয়। কিন্তু আমার স্বামী একবারও হাজির হয়নি।

আমার স্বামী একটি বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করে। জায়গাজমি যা আছে, তা তার মা-বাবার নামে।

আমার প্রশ্ন, মামলার বিবাদী হাজির না হলে আদালত তাকে হাজির করার ব্যবস্থা নিতে পারেন কি না। মামলার রায় একতরফা হলে দেনমোহর ভরণপোষণ কীভাবে আদায় করা যাবে।


আইনের কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে দেনমোহর ভরণপোষণ না দেওয়ার সুযোগ আছে কি না।

4.আইনজীবীর উত্তর

মামলায় বিবাদী হাজির না হলে আদালত একতরফা রায় প্রদান করবেন। এর মাধ্যমে ভরণপোষণ দেনমোহর আদায় করা সম্ভব। একতরফা রায়ের পরে তা কার্যকর করার জন্য আদালতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে আদালত কিস্তির মাধ্যমে দেনমোহর ভরণপোষণ প্রদানের আদেশ দিয়ে থাকেন।



5. জিজ্ঞাসা


আমি স্নাতক শেষ বর্ষে পড়ি। পাঁচ বছর আগে একটি ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়। ছেলেটি ব্যাংকে চাকরি করে। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে ছেলেটি বিয়ে করে এবং বিয়ের এক মাস পরই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এভাবে প্রায় সাত মাস চলে গেছে। এখন তার স্ত্রী তার কাছে আসতে চায় না। ইদানীং ছেলেটি আমার সঙ্গে প্রায়ই কথা বলে এবং আমাকে নিয়ে সংসার করতে চায়। পারিবারিক চাপেই সে নাকি বিয়ে করতে পারেনি এবং এটা নাকি তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এখন আমার পক্ষে কি বিয়ে করা ঠিক হবে? আমি অবিবাহিত। হিন্দু আইন অনুযায়ী বিবাহিত ছেলেকে কি বিয়ে করা যায়? ছেলেটি চায়, তার স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যেতে। এটা কি সম্ভব?
5.আইনজীবীর উত্তর


 হিন্দু আইনে কোনো সেপারেশন বা পৃথক্করণের বিধান নেই। তবে ছেলেটি তাঁর স্ত্রী দুজনের সম্মতিতে আলাদা হতে পারেন। এফিডেভিটের মাধ্যমে সাধারণত ধরনের পৃথক্করণ প্রচলিত আছে। ধরনের পৃথক্করণের পরবর্তী সময়ে আপনারা বিয়ে করতে পারেন।




6. জিজ্ঞাসা

আমার বয়স ৪১ বছর এবং আমি তিন সন্তানের মা। ১৯৯৩ সালে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে আমার সমবয়সী এক ছেলেকে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। বিয়েতে সাক্ষী ছিল তার বন্ধুরা। বিয়ের পর তার বা আমার পরিবারের কাউকে খবর জানাইনি। কয়েক মাস পর সে বিদেশে চলে যায়। প্রথম দেড় বছর যোগাযোগ থাকলেও পরে একটানা পাঁচ মাস সে কোনো যোগাযোগ না করাতে আমি আদালত থেকে একটা তালাকনামা জোগাড় করে পাঠিয়ে দিই (১৯৯৫ সালে) এর প্রায় সপ্তাহ পর পারিবারিকভাবে আমার বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তালাকনামা পেয়ে সেই প্রবাসী ছেলে আমাকে ফোন করে কিন্তু তারপর ১৬ বছরের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। বর্তমানে আমি স্বামী তিন সন্তান নিয়ে সুখে আছি। আমার স্বামী এবং বাবা-মাকে আমার অতীত কিছু জানাইনি, জানাতেও চাই না। কিন্তু সব সময় আমার মনে হচ্ছে, কোথায় যেন ভুল হয়েছে বা হচ্ছে। ইসলামি আইন মোতাবেক আমার কি কোথাও ভুল হয়েছে? ভুল হয়ে থাকলে মুহূর্তে শোধরানোর উপায় কী?

6.আইনজীবীর উত্তর


আপনি কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তবে নোটিশটি পরে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছিল কি না এবং পুনরায় মিলনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কি না ব্যাপারে আপনার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তালাক তওফিজ প্রদত্ত থাকলে আপনি আইন মোতাবেক তালাক প্রদান করতে পারেন।

7. জিজ্ঞাসা

আমার বয়স ৩৫। মা-বাবা আমাকে ছয় মাস বয়স থেকে লালনপালন করছেন এবং সন্তানের স্বীকৃতি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাঁদের নামই আছে। বাবা মারা গেছেন চার বছর আগে। মারা যাওয়ার পর জানতে পারলাম, আমি তাঁদের সন্তান নই, পালিত পুত্র। আমার বাবার এক ভাই তিন বোন। আমার প্রশ্ন, আমি কি বাবার সম্পত্তির অংশ থেকে কিছুই পাব না? আর এখন সম্পত্তির আইনগত কে কে মালিক হবেন? মৃত্যুর আগে বাবা কাউকে কোনো দান, অছিয়ত বা হেবা কিছুই করে যাননি।

 
7.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম আইনে অ্যাডপশনের কোনো বিধান নেই। সুতরাং পালিত পুত্র হিসেবে আপনার পিতা-মাতার সম্পত্তিতে আপনার কোনো অধিকার নেই। যেহেতু আপনার পিতা-মাতা আপনার নামে অছিয়ত বা হেবানামা সম্পাদন করেননি, সেহেতু মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী আপনার মা-বাবার ভাইবোনেরা ওই সম্পত্তির মালিক হবেন।


8. জিজ্ঞাসা

আমরা তিন ভাই এক বোন। আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার বাবা আমাদের বাড়ির এক কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। ওই পক্ষের একটি পুত্রসন্তানও হয়েছিল আমাদের বাড়িতেই। এর কিছুদিন পরই একদিন গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে আমার বাবা ওই মেয়েটিকে তালাক দেন। সালিসে আমার বাবার ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়, যা তিনি মেয়েটির অভিভাবকের হাতে দেন এবং শিশুপুত্রকে তার মা অর্থাৎ মেয়েটির কাছে দিয়ে দেন। সেই সন্তানের বয়স এখন আনুমানিক ১৬-১৭ বছর। আমার প্রশ্ন, বাবার ওই সন্তান বাবার সম্পত্তির কোনো অংশ পাবে কি না? আমার বাবা যদি আমাদের তিন ভাইয়ের নামে বাবার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দানপত্র করে দলিল করে দেন, তাহলে ভবিষ্যতে ওই ছেলে কি (বাবা মারা যাওয়ার পর) আমাদের কাছ থেকে আইনের মাধ্যমে সম্পত্তির কোনো অংশীদার হবে?
 
8.আইনজীবীর উত্তর

উত্তরাধিকারী হিসেবে আপনার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র আপনারা তিন ভাই এক বোনের সঙ্গে আপনার বাবার সম্পত্তির অংশীদার। আপনার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি তাঁর স্ত্রী সন্তানের ওপর বর্তাবে। তবে আপনার বাবা জীবিতকালে যদি তাঁর সম্পত্তি শুধু আপনাদের নামে দানপত্র করে দখল হস্তান্তর করেন, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র কোনো অংশ দাবি করতে পারবে না।


9. জিজ্ঞাসা

আমার বয়স ২৬ বছর। ২০০৪ সালে একটা ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়। বিয়ের কথা বললে ছেলেটি বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে এবং অনেক দেরিতে বিয়ে করবে বলে জানায়। একপর্যায়ে ২০০৭ সালের দিকে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিই। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। সে আমাকে জানায়, আজও সে আমাকে ভালোবাসে। আরও জানায়, সে এখনো বিয়ে করেনি। এর এক দিন পর একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে তার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বলে, আমি যেন ছেলেটির সঙ্গে আর কথা না বলি। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ছেলেটি আমাকে জানায়, স্ত্রীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর পর থেকে সে আবার নিয়মিত যোগাযোগ করে। আমার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে ব্যাপারটি আমি তাকে জানাই। সে জানায়, তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে, যদিও সে আমাকে জানায়, দুই পক্ষ বসে দেনমোহরের টাকা ভরণপোষণের টাকা দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ডিভোর্স হয়। আমার প্রশ্ন, সমঝোতার পরও কি মামলা করা যায়? ছেলেটি জানায়, তার পরিবার মামলাটি দেখছে এবং সে এক দিনও কোর্টে হাজিরা দেয়নি। আমি জানতে চাই, একটি মামলা শেষ হতে কত দিন সময় লাগে? মামলা রেকটি বিয়ে করা সম্ভব?
 
9.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম আইনে তালাক দেওয়ার নির্দিষ্ট বিধিবিধান আছে। সেসব বিধান সমঝোতার মাধ্যমে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তালাকের -সংক্রান্ত নোটিশ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে হয়। ওই নোটিশ দেওয়ার ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়। ছেলেটির স্ত্রী ছেলেটির বিরুদ্ধে কী মামলা করেছে, তা বোধগম্য নয়। তবে তালাকটি নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকলে আপনার সঙ্গে ছেলেটির বিয়েতে আইনগত কোনো বাধা নেই

10. জিজ্ঞাসা

এক বছর হলো পারিবারিক সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দুই মাসের মাথায়* আমার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর আর আসতে চায় না। তিন মাস পর স্থানীয় সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, তালাক হবে। এরপর সে আমাকে শর্ত দেয়, সে আমার সংসার করবে, যদি তার নামে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেওয়া হয় এবং নতুন করে টাকা বাড়িয়ে কাবিন করা হয়।
 
আমি তাকে খুব ভালোবাসি। আমি তাকে ঘরে আনতে চাই। এখন আমার কী করণীয়?
 
10.আইনজীবীর উত্তর


পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থ যখন প্রধান হয়ে দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে@ সম্পর্ক মানবিক হয় না। আপনার চিঠির বিবেচ্য বিষয়ে মতামত দেওয়া কঠিন। ক্ষেত্রে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, স্ত্রীর প্রার্থিত মতে সম্পদ অর্থ তাকে দেবেন কি না।
 
 

11. জিজ্ঞাসা

 ২০০০ সালে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। তখন আমার বয়স ছিল ১৬। আমার স্বামী* আমার চেয়ে ১০-১২ বছরের বড়। বিয়ের বছর খানেক পর আমার বড় মেয়ের জন্মের পর থেকেই তার আচরণ পরিবর্তন হতে থাকে। পরে বুঝতে পারি আমার স্বামীর যৌন আচরণে অস্বাভাবিকতা আছে। যা আমাদের সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। সংসারে প্রচণ্ড অশান্তি শুরু হওয়ায় অভিভাবক পর্যায়ে ব্যাপারটা মিটমাটের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। আমার স্বামীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আমার বাচ্চার কথা চিন্তা করে আমি বিবাহবিচ্ছেদ নিতে পারিনি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে সে আমাকে উল্টো ভয়ভীতি, হুমকিধমকি দিত। আমি এখন আমার বাবার বাড়িতে আছি। বাচ্চারা তাদের বাবার কাছে।
 
বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা বা ফোনে কথা বলারও সুযোগ দেয় না। তার আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছে, সে আমার সঙ্গে আর ঘরসংসার করবে না এবং আমি যেন তালাকনামা পাঠিয়ে দিই। একজন আইনজীবী আমাকে জানান, যেহেতু আমি বেকার, বাচ্চাদের ভরণপোষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। সেহেতু আদালত আমাকে বাচ্চা দেবে না। অবস্থায় আমার চারপাশে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখছি না। কীভাবে সহজে আমি আমার বাচ্চাদের কাছে আনতে পারব?
 


11.আইনজীবীর উত্তর


ধরনের অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আপনি আপনার স্বামীর@ বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা করতে পারেন। অপরাধে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আপনি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার আইনগত সহায়তা চাইতে পারেন। আইন সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ধরনের আইনগত সহায়তা প্রদান করে থাকে।
 

12. জিজ্ঞাসা


 আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। কিছুদিন আগে এক সহকর্মীর চাচাতো* বোনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমি ওই সহকর্মী দুজনই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মেয়েটি ওই সহকর্মীর সঙ্গে একই বাড়িতে ভাড়া থাকত। একপর্যায়ে তাদের সেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় অশালীন আচরণের কারণে। কিছুদিন পর মেয়েটি এক সন্ধ্যায় আমাকে ডেকে নিয়ে জোর করে বিয়ে করে। এতে তিন লাখ টাকার দেনমোহর হয়। আমি আত্মসম্মানের ভয়ে সব নীরবে সহ্য করে ওখান থেকে বেরিয়ে আসি।
আমি মেয়েটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমার কী করণীয়?


12.আইনজীবীর উত্তর

মেয়েটির সঙ্গে আপনার বিয়েটি যদি বৈধ হয়, তাহলে নির্ধারিত পদ্ধতিতে@ তালাকের মাধ্যমে আপনাকে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে দেনমোহরের অর্থ পরিশোধযোগ্য হবে

13. জিজ্ঞাসা

আমি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি। মেজো দুলাভাই বিদেশে থাকেন। ছয় মাস আগে তিনি* আমাকে স্বামীসহ বিদেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তখন আমি অবিবাহিত ছিলাম। তারপর আমার বড় বোনের দূর-সম্পর্কের এক দেবরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। আমাদের পরিবারের সম্মতিতে একটি নকল কাবিননামা তৈরি করা হয়, যা বিদেশে কাগজপত্র পাঠানোর জন্য দরকার ছিল। কাবিনে শুধু আমার সই ছিল। ছেলেদের পরিবারের সঙ্গে কথা ছিল দুজন বিদেশে যেতে পারলে বিয়ে হবে, অন্যথায় বিয়ে হবে না। আমরা ভিসা পাইনি। কিন্তু এই সময়ে আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন পরিবার থেকে বলছে, আমি যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখি। কিন্তু আমরা বিয়ে করে সংসার করতে চাই। আমার প্রশ্ন, আমাদের আগের কাবিননামা কি গ্রহণযোগ্য?

 
13.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম আইন অনুযায়ী, দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ, দুজন মহিলা সাক্ষীর@ শ্রুতি উপস্থিতিতে একপক্ষ কর্তৃক প্রস্তাব পেশ অপর পক্ষ কর্তৃক তা গ্রহণের মাধ্যমে একটি বৈধ বিবাহ সম্পন্ন হয়। ক্ষেত্রে প্রকাশ্যেপ্রস্তাবগ্রহণনা থাকলে বিবাহ বৈধ হবে না। সুতরাং নকল কাবিননামা দিয়ে আপনাদের কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আপনারা পারিবারিক সম্মতিতে যথানিয়মে বিয়ে করতে পারেন।


14. জিজ্ঞাসা

 আমার বোনের সন্তান ছিল না, আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে একটি মেয়েশিশু দত্তক* নেওয়ার কয়েক বছর পর তাঁর একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। দত্তক নেওয়া মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো আদর, ভালোবাসা অধিকার দিয়ে বড় করেছেন। ধুমধাম করে পালিত মেয়েটির বিয়ে দিয়েছেন এবং তার দুই মেয়ে হয়েছে। বোন সরকারি চাকরি করেন, আর পাঁচ-ছয় বছর পর অবসরে যাবেন। তিনি চান, তাঁর সব অর্থ, সম্পদ দুই মেয়ের মধ্যে সমানভাবে দিয়ে যেতে, যাতে তাঁর অবর্তমানে পালিত মেয়ে কোনো অংশ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাঁর পুত্রসন্তান নেই। জন্য কী করতে হবে?

14.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম ধর্মে পালক বা দত্তক নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং ওই সম্পত্তিতে@ পালক সন্তানের কোনো অধিকারের প্রশ্নই ওঠে না। তবে আপনার বোন তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর সম্পত্তি সমান অংশে দুই মেয়েকে দান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভাইয়েরা ওই সম্পত্তির দাবিদার হবেন না।


15. জিজ্ঞাসা

অভিভাবকেরা বাসায় কাজি ডেকে আমার বিয়ে পড়ান ২৭ বছর আগে। তখন আমরা দুজনই* শিক্ষার্থী ছিলাম। লেখাপড়া শেষ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার স্বামী বেকার। বিয়ের ১০ বছর পর আমাদের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের মুখ দেখেও তার কোনো দায়িত্ববোধ হলো না। তার বেকারত্ব বদমেজাজের কারণে একটা সময় সন্তান নিয়ে আলাদা হয়ে যাই। নয় বছর ধরে আমি আলাদা আছি। সন্তানের সব দায়িত্ব আমার ওপর। সে কোনো খরচ দেয় না।

অবস্থায় আমাদের কি তালাক হয়ে গেছে? নাকি আইনি প্রক্রিয়ায় তালাক দিতে হবে। আমি ছয় বছর আগে হাতে লেখা তালাকনামা দিয়েছিলাম। আমাদের বিবাহ নিবন্ধন হয়নি। এখন আমার করণীয় কী?

 
15.আইনজীবীর উত্তর


মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী তালাক প্রদানের নির্দিষ্ট@ বিধিবিধান রয়েছে তালাকের নোটিশ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে হয় এবং ওই নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়। সুতরাং আপনাকে এখন আইন মোতাবেক তালাক প্রদান করতে হবে। তবে কাবিননামায় আপনাকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া না থাকলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে হবে।


16. জিজ্ঞাসা

আমি স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ছি। দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় এক ছেলের সঙ্গে* আমার সম্পর্ক হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে আমরা বিয়ে করি এবং কথা দুই পরিবারের কাছে গোপন রাখি। বিয়ের পরও ছেলেটির একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে তালাকনামা পাঠাই।

তালাকনামায় আদালতের কোনো স্বাক্ষর ছিল না কিংবা কোনো নির্দেশনা ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত, তালাকনামাটি তার বাসায় পৌঁছালেও ছেলেটি বাসায় না থাকায় তালাকনামাটি কাজি অফিসে ফেরত আসে। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে তাকে জোর করে কাজি অফিসে নিয়ে সই করাই। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের () ধারামতে, তালাকনামায় শুধু ইউপি-থানা কর্তৃক মুসলিম বিবাহ নিবন্ধকের সিল ছিল।

কাজি আমাকে বলেছেন, তালাক হয়ে গেছে। কিন্তু ছেলেটি বলছে, তালাক দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে তালাকনামায় স্বাক্ষর না করলে তালাক হয় না। কথাটি কি ঠিক?

16.আইনজীবীর উত্তর

যেহেতু ২০১১ সালের আগস্ট মাসে আপনারা মুসলিম পারিবারিক আইনের ()@ ধারামতে তালাক দিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে তালাকটি তিন মাস পর কার্যকর হয়ে গেছে। সুতরাং, তিন মাস পরে তালাকনামায় স্বাক্ষর করার কোনো প্রয়োজন নেই

17. জিজ্ঞাসা

 আমার নাতনি মানে আমার মেয়ের মেয়ে। জন্মের পর থেকেই আমার কাছে বড় হচ্ছে। এখন তার বয়স ১২ বছর। জন্ম দেওয়ার পরই আমার মেয়ের দায়িত্ব শেষ। তারপর থেকেই নাতনির সব দায়িত্ব আমি পালন করছি। আমার মেয়ে এবং জামাই বিয়ের পাঁচ বছর পর আলাদা হয়ে গিয়েছে। তারপর মেয়ে আরেকটা বিয়ে করেছে এবং সে ঘরে একটা ছেলে হয়েছে। কিছুদিন আগে আমার মেয়ে এসে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে আমার নাতনিকে মারধর করে নিয়ে যায়। নাতনি তার মায়ের কাছে যাবে না। ফোন করে বলে আমাকে কবে নিয়ে আসবে। আমার মেয়ের কোনো কিছুই আমার পছন্দ নয়। আমার নাতনিকে তার মায়ের কাছে রাখা নিরাপদ মনে করছি না। বুঝতে পারছি না কীভাবে তাকে নিয়ে আসব।

 17.আইনজীবীর উত্তর


 আপনি আদালতে আপনার নাতনির অভিভাবকত্ব দবি করে আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আদালত শিশুটির কল্যাণের বিষয় বিবেচনা করে অভিভাবক নিয়োগ দেবেন। এ ছাড়া শিশুর নিজস্ব পছন্দের বিষয়টি আদালতে গুরুত্ব পাবে। যেহেতু শিশুটি আপনার কাছেই বড় হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে শিশুটির অভিভাবক হওয়ার সম্ভাবনা আপনার আছে।

18. জিজ্ঞাসা

এক বছর আগে রাজশাহীতে আমার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যাই। সেখানে গিয়ে একটি মেয়েকে আমার খুব ভালো লেগে যায়। সেও আমাকে পছন্দ করে। আমাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। গত জানুয়ারিতে আমার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জানতে পারি, সে আমার দাদির বোনের মেয়ে। এখন খুব চিন্তায় আছি। আমার প্রশ্ন, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি? আমার পরিবার কখনো এ বিয়েতে রাজি হবে না। এখন আমি কী করব।
 
18.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম আইনে রক্তের সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দাদির বোনের মেয়ে এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে পড়েন না। সুতরাং মেয়েটিকে বিয়ে করতে আপনার কোনো বাধা নেই।


19. জিজ্ঞাসা

 আমার বাবার দুই স্ত্রী। আমি ছোট মায়ের সন্তান। আমার আরও দুটি ভাই আছে আমার মায়ের গর্ভের। এ ছাড়া বড় মায়ের ঘরের দুই ছেলে রয়েছে। আমি বিয়ে করিনি। আমার নিজের নামে কিছু জমি রয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, আমার মৃত্যুর পর এই সম্পত্তির অংশিদার কে কে হবেন? আমি চাই, আমার সম্পত্তি শুধু আমার দুই ভাই (নিজের মায়ের সন্তান) পাবে। আমি যদি কোনো অছিয়তনামা বা উইল করে যাই, তাহলে সেটা সম্ভব কি না। আমার পক্ষে এই মুহূর্তে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া সম্ভব নয়।



19.আইনজীবীর উত্তর

আপনার মৃত্যুর পর আপনার সম্পত্তির ওয়ারিশ হবেন আপনার মা-বাবা ও দুই ভাই। আপনার বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা আপনার সম্পত্তির অংশ পাবেন না। সাধারণত উইল বা অছিয়তনামা অনাত্মীয় এবং এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ধরনের উইল মৃত্যুর পর কার্যকর হয়।

20. জিজ্ঞাসা

 দূরসম্পর্কের এক মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এখন সেটা ভালোবাসার রূপ নিয়েছে। আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি, কিন্তু আমাদের পরিবার এই সম্পর্ক মানবে না। এ অবস্থায় আমরা দুজন কাজি অফিস বা কাজির মাধ্যমে বিয়ে করতে চাইছি। আইনগতভাবে আমাদের বিয়ের বয়স হয়েছে। কাজি অফিস বা কাজির মাধ্যমে বিয়ে করতে কি কাগজপত্র লাগে এবং বিবাহ আইন অনুযায়ী এই বিয়ে সঠিক হবে কি না, যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবে বিয়ে আইনত টিকবে কি না?
 
20.আইনজীবীর উত্তর


 মুসলিম আইনে বিয়ে একধরনের চুক্তি। এ ক্ষেত্রে ‘প্রস্তাব’ এবং ‘গ্রহণ’ প্রয়োজনীয়। দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ, দুজন নারী সাক্ষীর উপস্থিতিতে একপক্ষ কর্তৃক প্রস্তাব পেশ এবং অপরপক্ষ কর্তৃক তা গ্রহণের মাধ্যমে একটি বৈধ বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো কাগজপত্র প্রয়োজন নেই।

21. জিজ্ঞাসা

 আমার বাবার দুই ভাই এক বোন। বোন সবার বড়। বাবা তাঁর বড় বোনের স্বামীর কাছ থেকে ২০ বছর আগে ৫০ কাঠা জমি ৪০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। তা অবশ্য কিনেছিল বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু কোনো কাগজে লিখিত হয়নি বা কোনো ডিড সম্পাদন করা হয়নি। আমাদের কাছে প্রমাণ বলতে ফুফুর হাতে লেখা তিনটি চিঠি রেখেছি। সেই চিঠিতে এমন লেখা আছে যে তুমি আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে জমিটি ক্রয় করো, পরে সময় করে এসে তোমাকে জমি লিখে দেব। কিন্তু বাবার বড় বোনের স্বামী কাউকে কিছু না বলে সেই জমিটি আমার ছোট চাচার কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। ছোট চাচা সেই জমি বিক্রির জন্য পাঁয়তারা করছেন। এ অবস্থায় আমরা কি মামলা বা আইনের আশ্রয় নিতে পারি?

21.আইনজীবীর উত্তর


 আপনার বাবা তাঁর বড় বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের আওতায় চুক্তিপ্রবলের (এনফোর্সমেন্ট অব কনট্র্যাক্ট) মামলা করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার বাবাকে মৌখিক লেনদেন প্রমাণ করতে হবে। এ ছাড়া তিনি প্রদেয় অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

22. জিজ্ঞাসা

 আমার বিয়ে হয় ১৯৮৮ সালের ১৮ মার্চ। প্রায় তিন বছর ঘর-সংসার করার পর তালাক হয়ে যায় ১৯৯১ সালের ২৬ জানুয়ারি। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করিনি। গত বছর ২২ ডিসেম্বর আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমার স্বামী আমাকে নিয়ে পুনরায় ঘর-সংসার কতে চায়। কিন্তু জানতে পারি, হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমাদের পুনর্মিলন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হিল্লা বিয়ে করতে আমি কোনোভাবে রাজি নই। এ অবস্থায় আমি আপনার শরণাপন্ন হলাম। এর কোনো প্রতিকার আছে কি না জানার জন্য।

22.আইনজীবীর উত্তর

 মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী একই স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী বিবাহ বা হিল্লা বিয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং তালাকের পরও আপনি আপনার আগের স্বামীকে আবার বিয়ে করতে পারেন।
23. জিজ্ঞাসা


আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি ২০০১ সালে বিয়ে করি এরপর অপরিকল্পিতভাবে একটি সন্তানের জন্ম হয় বিয়ের পর বেশ টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় কেটেছে তার সঙ্গে শুরু থেকেই আমার মনের মিল ছিল না তাই সম্পর্কের উন্নতি কখনোই ঘটেনি অবশেষে ২০০৯ সালে তার অনুমতি ছাড়াই আদালতের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে করি ওই সময় প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছিল আর আমি কাজের জন্য দূরে ছিলাম কিন্তু সে আমার দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই আমার কাছে চলে আসে একপর্যায়ে তাকে সন্তানসহ আমার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিই সে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেখান থেকে আমার অজান্তে দুই সন্তানকে নিয়ে চলে যায় কিছুদিন ফোনে যোগাযোগ ছিল এবং টাকা-পয়সাও পাঠিয়েছি বর্তমানে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তার বক্তব্য, সে ওই দুই সন্তান আমাকে দেবে না এবং সে ফিরেও আসবে না আমি শুধু আমার সন্তানদের ফেরত চাই কিভাবে আইনের সহায়তায় তা সম্ভব? আমি তালাকনামা পাঠাতে পারব কি না

23.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১-এর ধারা অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে একজন পুরুষের আরবিট্রেশন কাউন্সিলের অনুমতির প্রয়োজন ক্ষেত্রে বিনা অনুমতিতে বিয়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেই ব্যক্তির এক বছরের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডই হতে পারে মুসলিম আইনে সন্তানের আইনানুগ অভিভাবক হচ্ছেন বাবা কিন্তু একজন মা হেফাজতকারী হিসেবে কন্যাসন্তানের বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত তাকে লালনপালন করার অধিকারী পুত্রসন্তানের লালনপালনের সময় সাত বছর পর্যন্ত পরবর্তী সময়ে অভিভাবকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সন্তানের স্বার্থ কল্যাণ তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার আইনগত বাধা নেই

24. জিজ্ঞাসা

 আমার বাপ-চাচারা আট ভাইবোন আমার দাদার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি তিনি জীবিত থাকাকালে সন্তানদের নামে একই দলিলে (অংশ উল্লেখ না করে) দলিল করে দেন এখন আমার দাদা, বাবা একমাত্র ফুপু জীবিত নেই দাদা মারা যাওয়ার তিন-চার বছর আগেই আমার বাবা মারা যান অবস্থায় আমার চাচারা এবং বাবার সন্তান হিসেবে আমরা দুই ভাই দাদার দলিল করা সম্পত্তিগুলো যার যার সুবিধামতো ভোগ করে আসছি কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার আগে তিনি তাঁর নিজের নামে যেসব সম্পত্তি কিনেছিলেন এবং অংশীদার হিসেবে বাবা সম্পত্তির যে অংশ পাবেন, আমার চাচারা সেসব সম্পত্তির দুই আনা অংশ দাবি করছেন

অবস্থায় আমরা দুই ভাই (বোন নেই) মা- সব সম্পত্তির মালিক, না চাচারাও এর কোনো অংশ পাবেন?

24.আইনজীবীর উত্তর

বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে এজমালি সম্পত্তিতে আপনারা সবাই অংশীদার আপনার বাবার নিজস্ব সম্পত্তিতে আপনারা দুই ভাই এবং আপনার মা অংশীদার হবেন সেখানে আপনার চাচাদের কোনো অধিকার নেই সুতরাং আপনার চাচাদের দুই আনা সম্পত্তির দাবি ভিত্তিহীন উল্লেখ্য, আপনার মা আপনার বাবার সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগের অংশীদার







25. জিজ্ঞাসা

আমি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব আমার বয়স ১৭ বছর একটি ছেলেকে খুব ভালো বাসতাম কিন্তু তা সে বিশ্বাস করতে চাইত না সে বলত, ভালোবাসার প্রমাণ দিতে হবে সে আমাকে একটি দলিলের মতো কাগজ দেয় ওই কাগজে আমার তার জীবনবৃত্তান্ত লেখা ছিল আমার বয়স লেখা ছিল ১৯, ওর বয়স ২৬ (ওর প্রকৃত বয়স ৩০) আরো লেখা ছিল, আমরা পাঁচ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছি কেউ যদি পরবর্তী সময়ে কিছু বলে, তবে সেটা মিথ্যা বলে গণ্য হবে সবশেষে দুজনের সই তবে সে আমাকে বলেছে, 'এটা শুধু কাগজ, যা তুমি চাইলেই ফেরত পাবে তুমি রাজি থাকলে আমাদের সামাজিকভাবে বিয়ে হবে, নতুবা নয়' কিন্তু এখন কোনো এক বিশেষ কারণে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই; এমনকি তাকে বিয়ে করাও সম্ভব নয় একদিন ফোন করে তার কাছে ওই কাগজটা চাইলাম, সে তা দিতে অসম্মতি জানাল বলল, আমি নাকি তার বিবাহিত স্ত্রী আমার প্রশ্ন, এই কাগজে সই করার মাধ্যমে কি সত্যিই আমাদের বিয়ে হয়েছে? ভবিষ্যতে ওই কাগজ দিয়ে কি সে আমাকে কোনো আইনি জটিলতায় ফেলতে পারবে?

25.আইনজীবীর উত্তর

 শিক্ষাগত সার্টিফিকেটে প্রদত্ত জন্মতারিখ অনুযায়ী আপনার বয়স ১৭ বছর হলে আপনি এখনো নাবালিকা সুতরাং আইনগতভাবে ছেলেটি আপনাকে কোনো সমস্যায় ফেলতে পারবে না তবে ভবিষ্যতে ধরনের কাগজে সই করার ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক হতে হবে কারণ, ধরনের কাগজ বা দলিল প্রকাশ পেলে সমাজে আপনার সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে; তবে আপনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রাখতে পারেন

26. জিজ্ঞাসা

আমরা তিন বোন আমার বাবা জীবিত অবস্থায় আমাদের এবং আমার মাকে তাঁর কোনো সম্পত্তি লিখে দিতে চান না এদিকে আমার তিন চাচা চার ফুফু আছেন চাচাদেরও কোনো ছেলে নেই প্রত্যেক চাচার একটি করে মেয়ে আছে ফুফুদের ছেলেমেয়ে আছে বাবার অবর্তমানে মুসলিম আইন অনুযায়ী আমরা তিন বোন মা কী পরিমাণ সম্পত্তি পাব? বাবার সব সম্পত্তি আমরা পেতে চাইলে তা সম্ভব কি না, জানালে উপকৃত হব

26.আইনজীবীর উত্তর

মুসলিম আইন অনুযায়ী বাবার অবর্তমানে আপনার মা আপনার বাবার পুরো সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগের মালিক হবেন অবশিষ্ট সম্পত্তির অর্ধেক আপনারা তিন বোন পাবেন বাকি অর্ধেক সম্পত্তিতে আপনার বাবার ভাইবোনেরা অংশীদার হবেন বাবার সব সম্পত্তি পেতে হলে আপনার বাবাকে পুরো সম্পত্তি তাঁর জীবদ্দশায় আপনাদের নামে হেবার মাধ্যমে হস্তান্তর করতে হবে

27. জিজ্ঞাসা


আমি একটি সরকারি চাকরি করি বয়স আনুমানিক ৫২ স্ত্রী বেশ কিছু দিন আগে মারা গেছে আমার মাত্র একজন কন্যাসন্তান নিজের কোনো ভাইবোন নেই আমার নিজ নামে কোনো সম্পত্তি থাকলে আমার অবর্তমানে সেই সম্পত্তির মালিক কে হবে? আমার চাচাতো ভাইবোনেরা কি সেই সম্পত্তির মালিক হবে? হেবা দলিল মানে কি উইল করা? অপ্রাপ্তবয়স্ক কারো নামে হেবা দলিল করা যায় কি? প্রয়োজনে হেবা বাতিল করা যায়?

27.আইনজীবীর উত্তর

একমাত্র কন্যাসন্তান হিসেবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী আপনার অবর্তমানে আপনার পুরো সম্পত্তির অর্ধেক তার প্রাপ্য বাকি অর্ধেক আপনার ভাইবোনদের মধ্যে নির্দিষ্ট অংশে বণ্টিত হবে হেবা দলিলের ক্ষেত্রে সম্পত্তির হস্তান্তর অপরিহার্য সাধারণত হেবার মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করলে সেই সম্পত্তিতে আপনার কোনো অধিকার থাকবে না এবং ওই দলিল বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন লোক যেকোনো গর ওয়ারিশকে তাঁর সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ উইল করতে পারেন এবং হেবার ক্ষেত্রে উইলের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ প্রদানের সীমাবদ্ধতা নেই অর্থাৎ একজনের পুরো সম্পত্তি হেবার মাধ্যমে হস্তান্তর সম্ভব অপ্রাপ্তবয়স্ক কারো নামে হেবা করতে হলে তা তার অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয় পরবর্তী সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ওই সম্পত্তির অধিকার তার ওপর বর্তাবে

28. জিজ্ঞাসা

আমি বিবিএ তৃতীয় বর্ষে পড়ছি ২০০৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর আমার এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় একপর্যায়ে তার চাপে গোপনে তাকে বিয়ে করি কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারি, সে উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর পড়ালেখা করেনি তখন আমি ভালো একটি কলেজে পড়ছিলাম বিয়ের সময় আমার বয়স ১৮ হয়নি সে একটা কাগজ এনেছিল এবং ওখানে বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সম্ভবত বিয়েটা রেজিস্ট্রি হয়েছে এর কিছুদিন পর উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হই এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই তখন থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে সে সামান্য বিষয়ে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করত গায়ে হাত তুলত আমি কাউকে কিছু বলতে পারতাম না তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিই, কিন্তু বেঁচে যাই প্রতিবাদ করলে বা তালাক দেওয়ার কথা বললে সে বলত, পত্রিকায় আমার নামে আজেবাজে কথা লিখবে আরো নানাভাবে সে হুমকি দিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আর সহ্য করতে না পেরে পরিবারের সবাইকে সব কিছু জানাই ২০০৮ সালের শেষে তার সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় এখন কোনো যোগাযোগ নেই তবে সে তার বন্ধুবান্ধব ফোন করে আজেবাজে কথা বলে আমাকে আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয় আমি বেশ ভালো ফল করছি আমার ইচ্ছা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেব কিন্তু এসব চিন্তা সব কিছু ওলটপালট করে দেয় আমি পাসপোর্টে অবিবাহিত লিখতে চাইছি, এতে কি কোনো সমস্যা হবে? আমার যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য কি ব্যবস্থা নিতে পারি বা ডিভোর্স কিভাবে দেওয়া যায়

28.আইনজীবীর উত্তর

কাবিননামায় আপনার তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া থাকলে আপনি কাজি অফিসের মাধ্যমে তালাক দিতে পারেন এই তালাক তিন মাস পর কার্যকর হবে তালাকের পর আপনি পাসপোর্টে অবিবাহিত লিখতে পারেন কাবিননামায় তালাকই তাওফিজ বা তালাকের ক্ষমতা অর্পিত না থাকলে আপনি মুসলিম পারিবারিক আদালতে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার জন্য মামলা করতে পারেন

29. জিজ্ঞাসা


আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতন সইতে না পেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আমি আমার মায়ের কাছে চলে আসি এবং থানায় একটি জিডি করি। এর তিন মাস পর আমার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। আমার স্বামী সন্তান এবং আমার কোনো খোঁজখবর নিত না এবং কোনো খরচ দিত না। আমার মেয়ের যখন পাঁচ মাস বয়স, তখন পারিবারিক আদালতে একটি দেনমোহর আদায় ও ভরণপোষণের মামলা করি। এর কিছু দিন পর স্বামীর দেওয়া একটি তালাকের নোটিশ পাই। মামলার শুনানির সময় আমার মেয়ের বিয়ের আগ পর্যন্ত খরচ দাবি করে একটি আবেদন আরজির সঙ্গে সংযুক্ত করি। কিন্তু আমার স্বামী এই আবেদনের ওপর আপত্তি জানিয়ে বলে যে বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই। কারণ, আমার বাচ্চার জন্মের ব্যাপারে আমার কোনোই সন্দেহ নেই। আমি শুনেছি, ডিএনএ পরীক্ষা করতে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু এখন আমার প্রশ্ন হলো, ডিএনএ পরীক্ষার খরচ কি আমাকেই বহন করতে হবে? আমি আমার সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি। আমি কী করে এ খরচ বহন করব? দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো- আমার স্বামীর দেওয়া তালাকের নোটিশে বিয়ের সঠিক তারিখ ১৩-০৭-২০০৭ দেওয়া থাকলেও তালাক প্রদানের তারিখ ১৬-০৫-২০০৭ তারিখ দেওয়া আছে, যা বিয়েরও তিন মাস আগের তারিখ। আমার কাছে আমার কাবিননামা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই তালাক কি কার্যকর হয়েছে?

29.আইনজীবীর উত্তর

চিঠিতে উল্লিখিত মামলায় আপনার স্বামী বিবাদী হয়ে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আপনার স্বামীকেই ডিএনএ পরীক্ষার খরচ বহন করতে হবে। আমার জানা মতে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডিএনএ পরীক্ষার একটি বিভাগ আছে। সেখানে স্বল্প ব্যয়ে ডিএনএ পরীক্ষা সম্ভব। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে জানাচ্ছি, তালাক প্রদানের তারিখটি করণিক ভুল। এই করণিক বা ক্লারিক্যাল ভুলটি নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে সংশোধন করা সম্ভব। এই ভুলের জন্য আপনাদের তালাক অকার্যকর হবে না।

30. জিজ্ঞাসা

আমার বাবার জমি উত্তর-দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে। তার পূর্ব পাশে বাবা আমার নামে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আমার এক চাচার কাছ থেকে। একই দাগে আরো জমি থাকায় আরেক চাচাতো বোন ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যা আমার জমির পূর্ব পাশে। চাচাতো বোন কেনা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় পশ্চিম পাশ উল্লেখ করেন। এতে দেখা যায় প্রথমে আমার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি, তারপর তাদের সম্পত্তি, এরপর আমার সম্পত্তি। তখন আমার বাবা তাদের জায়গার বিপরীতে টাকা আমানত করেন। কারণ, চাচাতো বোন তখনো ওয়ারিশ হননি। ওই জায়গাটি আমাদের দখলে ছিল, কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক তাঁদের জায়গা দখল করে নিয়ে ঘর তুলে দেন। সে সময় ডিসেম্বর মাসে জজ কোর্ট বন্ধ থাকায় আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমানতি নোটিশ থানায় দেখানো হলেও কোনো সাহায্য পাইনি। আমার বাবার একমাত্র ছেলে আমি। আমাকে এবং আমার বাবাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমানতি টাকা তুলে নেওয়ার জন্য। এখন আমার করণীয় কী এবং ওই জায়গা কি কখনো আমরা ফিরে পাব?

30.আইনজীবীর উত্তর


আপনাকে আপনার ক্রয়কৃত (৩৩ শতক) ভূমি থেকে বা বন্ধকি নেওয়া সম্পত্তি থেকে বেদখল করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারটি চিঠিতে পরিষ্কার নয়। আপনাকে যদি আপনার ক্রয় করা সম্পত্তি থেকে বেদখল করা হয়ে থাকে তার জন্য আপনি দখল পুনরুদ্ধারের মামলা করতে পারেন। বন্ধকি নেওয়া বা আমানত নেওয়া সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে কি না তাও চিঠি পড়ে বোধগম্য নয়। যদি এ রকম আমানতের ক্ষেত্রে চুক্তি থাকে, এর জন্য চুক্তি প্রবলের বা আপনার শর্ত আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।